যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ‘সুরক্ষিত বাড়ি’ এটি!


বিডিমর্নিং ডেস্ক-
উপর থেকে দেখে কিছুই বোঝার উপায় নেই। এই বিপুল ‘কর্মযজ্ঞ’ দেখতে গেলে মাটির নীচে ৪৫ ফুট গভীরে যেতে হবে। এরপরেই চোখে পড়বে বিলাসবহুল ভূগর্ভস্থ বাড়িটি। নির্মতাদের দাবি, এটাই পৃথিবীর সুরক্ষিততম বাড়ি।
জর্জিয়ার সাভানার কাছে মাটির নীচে ৩২ একর এলাকা জুড়ে রয়েছে এই অভিনব বাড়ি। আসলে বাড়ি নয়, আস্ত একটা বাঙ্কার।
১৯৬৯-এর যুদ্ধের সময় জর্জিয়ার সেনা ইঞ্জিনিয়রা তৈরি করেছিল এই বাঙ্কার। ২০১২ সালে এটির নকশা পুরোপুরিই বদলানো হয়। এই মুহূর্তে ‘ব্যাসন হোল্ডিং’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার মালিকানায় রয়েছে বাঙ্কারটি।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’-এর মালিক ক্রিস স্যালামন জানান, শীঘ্রই বিক্রি করা হবে বাড়িটি। এই মুহূর্তে ১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার দাম নির্ধারিত হয়েছে এই বাড়িটির জন্য।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’-এর দাবি, এই বাড়িটির প্রতিটি দেওয়াল ৩ ফুট চওড়া। এক লাখ ডলারের সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে এখানে। যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বড়সড় বিস্ফোরণ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে এই বাড়ির। ২০ কিলোটন পর্যন্ত পরমাণু বিস্ফোরণের তীব্রতাও সহ্য করতে পারবে এই বাড়ি।
ক্রিস জানান, বিশ্ব জুড়ে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা যুদ্ধ এবং জঙ্গি আক্রমণ থেকে বাঁচতে এই বাড়ির গুরুত্ব অপরিসীম।
কী কী রয়েছে মাটির নীচের এই দোতলা বাড়িটিতে?
মোট এলাকা ১৪ হাজার বর্গ ফুট। রয়েছে অস্ত্র রাখার একটি বিশেষ ঘর। থিয়েটার রুম ও স্টাফ কোয়ার্টার। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিটি তলায় ৬০০ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে দু’টি করে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টেই রয়েছে আলাদা আলাদা রান্নাঘর, ডাইনিং, দু’টো বেডরুম, লিভিং রুম ও বাথরুম।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’ জানিয়েছে, যে কেউ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য, ব্যবসায়িক কাজে বা সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাড়ি কিনতে পারেন। ক্রেতার পছন্দ মতো ইন্টিরিয়র পরিবর্তন করাও সম্ভব বলে জানিয়েছে এই সংস্থা।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’-এর সিইও মার্টিন ম্যাকডারমট বলেন, এই বাড়ি আপনাকে যেমন সুরক্ষিত রাখবে, তেমনই আরামও দেবে। কারণ এতে পাঁচ তারা হোটেলের মতোই সমস্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।তবে সুরক্ষার জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বাড়িটির সঠিক ঠিকানা জানায়নি। সূত্র: আনন্দবাজার
- See more at :
Powered by Blogger.