'হারের জন্য সব কিছুই করেছে আর্জেন্টিনা'
দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং ফুটবল কিংবদন্তী ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনার ফুটবল ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে। অনেকের ধারণা, দেশটির ঐতিহ্য বলতে এই ফুটবলই। শৈল্পিক ছন্দে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলায় তাদের তুলনা নেই। ২৮ বছর বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখেনি আর্জেন্টিনা। তবুও তাদের সমর্থক সংখ্যা কমার বদলে বরং বেড়েই চলে। শুধুমাত্র নান্দনিক ফুটবলের ধারক ও বাহক বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তারা এই নান্দনিক স্টাটিজি অনুসরণ করে আসছে। পাওয়ার ফুটবলের বিপরীতে আলতো ছোঁয়ায়ও ফুটবল খেলা যায় তা আর্জেন্টিনাই প্রমাণ করেছে বারবার।
কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে ভক্তরা এবার কোন আর্জেন্টিনাকে দেখলো, তা নিয়ো আলোচনা বিস্তর। পাওয়ার নাকি শৈল্পিক কোন স্টাটিজে খেলেছে তারা, তার কূল পাচ্ছে না বিশ্লেষজ্ঞরা। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছে, এই দল আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে পারফর্মার। কিন্তু কি আশ্চর্য! ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দলে আছে এমন একজন, যিনি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। ফুটবল কিংবদন্তী পেলে এবং ম্যারাডোনাও যার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গর্ব করতে কৃপণতা করেন না। সেই লিওনেল মেসির দলই কিনা আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দল! ফুটবল বিজ্ঞরা ভুল কিছু বলেন নি, খেলা দেখে তেমনই মনে হয়েছে ফুটবল সমর্থকদের।
এমন কি এই দলেই মধ্যে যে বিভেদ স্পষ্ট তা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসির অসহায়ত্ব দেখে বোঝা গেছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে নেই কোনো বোঝা পড়া, কোচের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের আকাশ-পাতাল সমান ফারাক, কোচের এক এক ম্যাচে এক এক ভিন্ন একাদশই দলকে ভরাডুবি ঘটিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রশ্ন রয়েছে, আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া বেশ কিছু খেলোয়াড়ের সামর্থ্য নিয়েও।
রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার এমন অবস্থায় চরম খেপেছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা রিস্টো স্টোইচকোভ।
১৯৯৪ সালের ব্যালন ডি'অর জয়ী স্টোইচকোভ বলেন, 'এই দলটি শুধু মেসি নির্ভর হয়েই ছিল। একটা জাতীয় দল খারাপ থেকে খারাপই হয়েছে। এই দলে অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় আছে কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তারা কি জানতো না যে, এটাই তাদের শেষ সুযোগ ছিল।'
'সবসময় মেসির দোষ দেয়া ঠিক না। আসলে আর্জেন্টিনার জয়ের জন্য সবকিছুই ছিল কিন্তু হারের জন্য তারা সবকিছু করেছে।'
'কেউই মেসিকে সাহায্য করেনি। মেসি, মাশচেরানো অথবা গোলরক্ষককের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই বলা যায়। তবে সাম্পাওলি অনেক সিদ্ধান্ত ভুল নিয়েছে, ফেডারেশনও।'
কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে ভক্তরা এবার কোন আর্জেন্টিনাকে দেখলো, তা নিয়ো আলোচনা বিস্তর। পাওয়ার নাকি শৈল্পিক কোন স্টাটিজে খেলেছে তারা, তার কূল পাচ্ছে না বিশ্লেষজ্ঞরা। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছে, এই দল আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে পারফর্মার। কিন্তু কি আশ্চর্য! ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দলে আছে এমন একজন, যিনি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। ফুটবল কিংবদন্তী পেলে এবং ম্যারাডোনাও যার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গর্ব করতে কৃপণতা করেন না। সেই লিওনেল মেসির দলই কিনা আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দল! ফুটবল বিজ্ঞরা ভুল কিছু বলেন নি, খেলা দেখে তেমনই মনে হয়েছে ফুটবল সমর্থকদের।
এমন কি এই দলেই মধ্যে যে বিভেদ স্পষ্ট তা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসির অসহায়ত্ব দেখে বোঝা গেছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে নেই কোনো বোঝা পড়া, কোচের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের আকাশ-পাতাল সমান ফারাক, কোচের এক এক ম্যাচে এক এক ভিন্ন একাদশই দলকে ভরাডুবি ঘটিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রশ্ন রয়েছে, আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া বেশ কিছু খেলোয়াড়ের সামর্থ্য নিয়েও।
১৯৯৪ সালের ব্যালন ডি'অর জয়ী স্টোইচকোভ বলেন, 'এই দলটি শুধু মেসি নির্ভর হয়েই ছিল। একটা জাতীয় দল খারাপ থেকে খারাপই হয়েছে। এই দলে অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় আছে কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তারা কি জানতো না যে, এটাই তাদের শেষ সুযোগ ছিল।'
'কেউই মেসিকে সাহায্য করেনি। মেসি, মাশচেরানো অথবা গোলরক্ষককের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই বলা যায়। তবে সাম্পাওলি অনেক সিদ্ধান্ত ভুল নিয়েছে, ফেডারেশনও।'